অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হজের পাথর নিক্ষেপ পর্ব সম্পর্কে হজযাত্রীদের অবশ্য পালনীয় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মূলত এই নিরাপত্তা ও এই আচারের পত্রিতা রক্ষার স্বার্থেই দেওয়া হয়েছে এসব নির্দেশনা।
হজের আচার-আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় আরবি জিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে। তারপর ৯ তারিখ আরাফাত দিবস, ১০ তারিখ ঈদুল আজহা শেষে ১১ ও ১২ তারিখ মিনায় অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। ঈদ এবং তার পরবর্তী ২ দিন তাদেরকে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
পাথর নিক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান বা এলাকা রয়েছে মিনায়। এসব স্থানকে বলা হয় জামারা। মিনায় মোট জামারা রয়েছে ৩টি। সবচেয়ে বড় জামারার নাম জামারা আল আকবা। প্রতিটি জামারায় পাথর নিক্ষেপ করতে হয় হাজিদের।
জামারাগুলোর আশপাশে পাথুরে পাহাড় রয়েছে। হজযাত্রীদের সেসব পাহাড় থেকে পাথর সংগ্রহ না করার নির্দেশ দিয়েছে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মূলত প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ রক্ষা এবং সম্ভাব্য পাথরধস ঠেকানো এ নির্দেশের উদ্দেশ্য।
প্রত্যেক হজযাত্রী এক একটি জামারায় সর্বোচ্চ ৭টি পাথর ছুড়তে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, পাথরগুলোর আকৃতি অবশ্যই ছোটো হতে হবে এবং সেগুলোর একটির আকৃতির সঙ্গে যেন অন্যটির মিল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হজের এই আনুষ্ঠানিকতাটি খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ শৃঙ্খলা না থাকলে এখানে ভীড়ের কারণে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
এই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর দলকে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ সময়সূচি এমন ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যে কোনো দলকে অযথা বিলম্ব বা বাধায় পড়তে হবে না। প্রতিটি দলকে সেই সময়সূচি মেনে চলার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের চলাচলের জন্য যে পথ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, সেই পথে তাদের চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
‘হজযাত্রাকে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ রাখার পাশপাাশি হজযাত্রীদের আত্মিক উন্নতি এবং তাদের মধ্যে কল্যাণসাধন এসব নির্দেশনার উদ্দেশ্য। আমরা আশা করি, আমাদের নির্দেশনা মেনে চলার মাধ্যমে হজযাত্রীরা একপ্রকার সামষ্টিক অভিজ্ঞতা লাভ করবেন এবং ইসলামধর্মে হজের যে ব্যাপক গুরুত্ব ও গভীর পবিত্রতা রয়েছে, তা আরও একবার উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন,’ বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়।
Leave a Reply